‘রকমারী গণতন্ত্র’-এর আলোচিত কবি বি এস হালিম মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ৭ টা ৪৯ মি রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি পারনান্দুয়ালী গ্রামের আখের উদ্দিনের ছেলে।
কবি বিএম হালিম দীর্ঘ দিন মস্তিস্তে রক্তক্ষরন ও পক্ষাঘাত গ্রস্থ জনিত জটিলতায় ৭ বছর ধরে ভুগছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ্য হলে প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেয়া হলে সেখান থেকে কবিকে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রাতে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কবি ্িবএম হালিমের পুরো নাম বিশ্বাস মোহাম্মাদ হালিম। তিনি মৃত্যকালে স্ত্রী,তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মাগুরা ১ আসনের সাংসদ এ্যাড.সাইফুজ্জামান শিখর। এছাড়া কবির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মাগুরার সামাজিক,রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক দলের নানা ব্যাক্তিবর্গ। মাগুরা সাংস্কতিক পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কবির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মাগুরার খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক ও প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শামীম আহমেদ খান।
কবি বি এম হালিম ছিলেন মাগুরা নবগঙ্গা সাহিত্য গোষ্টীর প্রতিষ্ঠাতা । তিনি অসংখ্যা কবিতা ও কাব্য রচনা করে গেছেন। তিনি একজন পেশাজীবি কবি। এটাই তার জীবিকা ছিল। তার উল্লেখ যোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে স্বপ্নরে গল্প র্, ,হলুদ পাখির বিয়ে , নীলান্জনা ।
৭০ দশকে কাব্য চর্চা শুরু করেন এই গুনী কবি। আমৃত্যু লেখালেখির পাশাপাশি মাগুরার সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসাবে সু পরিচিত ছিলেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,আগামীকাল কখন জানাযা হবে তা সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।