মাগুরায় অভিযান চালিয়ে নয়টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দিনভর শ্রীপুর ও সদর উপজেলায় এ অভিযান চালানো হয়। খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাশরুবা ফেরদৌস ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার শ্রীপুরে পাঁচটি ও সদর উপজেলায় চারটি ইটভাটায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। শ্রীপুরে উচ্ছেদকৃত ভাটাগুলো হচ্ছে, রায়নগর গ্রামে মোঃ হুমাউনুর রশিদ মুহিতের মালিকানাধীন মেসার্স টপটেন ব্রিকস, বাখেরা গ্রামে বাকিউল আলমের এসএবি ব্রিকস, মহেশপুর গ্রামের জিয়ারুল শেখের কেজিইএ ব্রিকস, রায়নগর গ্রামের আবু জাফরের গড়াই ব্রিকস ও সারঙ্গদিয়া গ্রামের মুশফিকুর রহমান কালনের মেসার্স হামীম ব্রিকস।
আর সদর উপজেলায় উচ্ছেদ করা ইটভাটা গুলো হচ্ছে, পাতুড়িয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের এমএসকেবি ব্রিকস, কছুন্দি গ্রামে সুমন হোসেন লাড্ডুর এমএসবি ব্রিকস, খোর্দ কছুন্দি গ্রামে মোঃ জাহাঙ্গিরের এমএমএমবি ব্রিকস এবং পুখুরিয়া গ্রামের মেসার্স এইচএনডি ব্রিকস। কর্মকর্তারা জানান, উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে এক্সকেভেটর দিয়ে ভাটাগুলোর চিমনি, কিলন (ইট পোড়ানোর জায়গা) সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ট্র্যাক্টর দিয়ে কাঁচা ইট মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ সাঈদ আনোয়ার জানান, ‘যেসব ভাটায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে তার সব গুলো ড্রাম চিমনির। যেখানে জ্বালানী হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছিল। ২০১৯ সালে এসব ভাটার বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তারপরও ভাটাগুলো একইভাবে চলছিল’। তিনি জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর মাগুরা সদর উপজেলায় ১৫টি ভাটায় উচ্ছেদ অভিযান ও জরিমানা করা হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তারমধ্যে তিনটি ইতভাটা ফের চালু অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেগুলো আবারো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসেবে মাগুরা জেলায় মোট ৭০টি ইটভাটা আছে। তারমধ্যে পরিবেশ ছাড়পত্র আছে মাত্র সাতটির।